মিহিমা আফরোজ: তালিবান সরকার পশ্চিম আফগানিস্তানে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। গত বুধবার তালিবানের একজন মুখপাত্র ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বছর ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম তালিবান প্রকাশ্যে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। প্রকাশ্যে এই মৃত্যুদন্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  ওয়াশিংটন পোস্ট

তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০১৭ সালে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পরে, তালিবানের সর্বোচ্চ ও আধ্যাত্মিক নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছেন বলে জানান তিনি। পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহ প্রদেশে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ব্যাক্তির মৃত্যুদণ্ড নিজ হাতে কার্যকর করেছেন হত্যার শিকার হওয়ার ব্যক্তির বাবা।

মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তালিবানদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের ভয়ঙ্কর ভিডিও দেখেছি। এই ভিডিওটি সম্প্রতি অনলাইনে প্রচারিত হয়েছে। এই ধরনের ভিডিওগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, তালিবানরা তাদের ১৯৯০ এর দশকের পশ্চাৎপদ ও অধঃপতন নীতিতে ফিরে যেতে চাইছে।

ওয়াশিংটনে একটি নতুন বৈঠকে আলোচনার জন্য তালিবানকে চাপ দেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রাইস জানান, এটা হবে সকল আফগান নাগরিকের মর্যাদা ও মানবাধিকারের প্রতি অবমাননা।  তিনি তালিবানের প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের পদক্ষেপকে তাদের প্রতিশ্রুতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। ওয়েস্ট জানান, বৈঠকে তিনি আফগানিস্তানের অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে নারী ও শিশুরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ